Otosclerosis

Otosclerosis হল এমন একটি অবস্থা যেখানে কানে শুনতে ব্যবহৃত শ্রবণের তৃতীয় হাড়টি(Stapes) অস্বাভাবিকভাবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট এর আস্তরন পরায় যেমন হওয়া উচিত তেমনভাবে নড়াচড়া করে না।এটি পরিবাহী শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। অবস্থা প্রাথমিক হলে, চিকিৎসার প্রয়োজন নাও হতে পারে। যখন শ্রবণশক্তি বেশি হ্রাস পেতে থাকে, তখন হিয়ারিং এইড ব্যবহার বা স্টেপেডক্টোমি সার্জারি কার্যকরী চিকিৎসার হতে পারে। আমাদের ডাক্তাররা এই অবস্থার চিকিৎসার জন্য স্টেপেডেক্টমি নামে একটি অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি অফার করেন। একটি সফল অস্ত্রোপচার প্রায়ই স্থায়ীভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে এই ধরনের শ্রবণশক্তির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে এবং বহু বছরের শ্রবণশক্তির হ্রাস পাওয়া থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে। এছাড়াও সার্জারির বিকল্প হিসেবে হিয়ারিং এইড( কানে শোনার যন্ত্র) ব্যবহার করলে স্বাভাবিক শ্রবনশক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব।Otosclerosis এ আক্রান্ত রোগির লক্ষণ সমূহঃOtosclerosis এ আক্রান্ত বেশিরভাগ লোক তাদের 20 বা 30 বছর বয়সে শ্রবণ সমস্যা লক্ষ্য করে। এক বা উভয় কান প্রভাবিত হতে পারে।👉 শ্রবণশক্তি হ্রাস যা সময়ের সাথে ধীরে ধীরে খারাপ হয়।👉কম, গভীর শব্দ এবং ফিসফিস শুনতে বিশেষ অসুবিধা।👉 এই রোগে আক্রান্ত রোগী খুবই আস্তে কথা বলে কারণ রোগীর কণ্ঠস্বর রোগীর কাছে জোরে শোনাচ্ছে।👉 ব্যাকগ্রাউন্ডে আওয়াজ হলে শুনতে সহজ হয় (অন্যান্য অনেক ধরনের শ্রবণশক্তি হারানোর মতো নয়) 👉 কানে এক ধরনের ভোঁ ভোঁ বা ঝিঁ ঝিঁ শব্দ শুনতে পাওয়া, যেমন গুঞ্জন বা গুনগুন, যা রোগী শরীরের ভিতর থেকে আসে (টিনিটাস)👉মাথা ঘোরা (যদিও এটি বিরল)মনে রাখবেন,আপনার শ্রবন সংক্রান্ত সমস্যার একমাত্র সার্টিফাইড কেয়ারার শুধুমাত্র একজন অডিওলোজিস্ট।আপনাদেরকে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে পাশে আছে “Shono Bangladesh Speech and Hearing Point”. ঠিকানাঃ৬৫/ক মাটিকাটা -ইসিবি চত্ত্বর রোড। বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে।ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১২০৬মোবাইল ঃ০১৭৭৪-৯১০৭৯১, ০১৪০৬-৩০৩০৯০
টিনাইটাস, Tinnitus, রিং,হিস হিস,গুঞ্জন,শিস,ঝনঝন,কিচিরমিচির এধরনের শব্দ শোনার অনুভূতি

টিনাইটাস হলো এক বা উভয় কানে রিং,হিস হিস,গুঞ্জন,শিস,ঝনঝন,কিচিরমিচির এধরনের শব্দ শোনার অনুভূতি। যা ক্রমাগত বা বিরতিহীন হতে পারে। টিনাইটাস সাধারণত বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। টিনাইটাস নানা কারণে ঘটে। যেমনঃ বয়স-সম্পর্কিত শ্রবণশক্তি হ্রাস, কানে আঘাত বা সংবহনতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা।টিনাইটাসের বিভিন্ন কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ-শ্রবণশক্তি হারানো।-কানের সংক্রমণ।-তরল পদার্থ,ময়লা,কানের মোম বা অন্যান্য পদার্থ জমা।-মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত।-ঔষুধ সেবনঃ যেমন- ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs), ক্যান্সারের ওষুধ, মূত্রবর্ধক, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক।-মেনিয়ার ডিজিজ (কানের একটি ব্যাধি যা অন্তঃকর্নের অস্বাভাবিক তরলের চাপের কারণে ঘটে)।-অটোসক্লেরোসিস (কানের হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে মধ্যকর্নের হাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।)-ইউস্টেসিয়ান টিউব ডিসফাংশন (কানের এমন একটি টিউব যা মধ্যকর্নকে উপরের গলার সাথে সংযুক্ত করে,তা প্রসারিত থাকে। যার ফলে কান পূর্ণ হয়।)-অন্তঃকর্নের পেশীগুলোর সংকোচন ইত্যাদি।টিনাইটাস সহ স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার। ঠিকানাঃ৬৫/ক মাটিকাটা -ইসিবি চত্ত্বর রোড। বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে।ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১২০৬মোবাইল ঃ০১৭৭৪-৯১০৭৯১,০১৪০৬-৩০৩০৯০
হিয়ারিং এইড (Hearing Aid) এর ব্যবহার, বৈশিষ্ট্য এবং দাম ইত্যাদি সম্পর্কিত কিছু কথা।

প্রশ্ন ১.হিয়ারিং এইড কি?উত্তর: হিয়ারিং এইড একটি ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা শব্দকে যথাযথভাবে শুনতে সহায়তা করে। অর্থ্যাৎ হিয়ারিং লসের মাত্রা অনুযায়ী কতটুকু শব্দ জেনারেট করলে একজন মানুষ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শুনতে পাবে সেটা একটি হিয়ারিং এইড নিয়ন্ত্রণ করে। প্রশ্ন ২.হিয়ারিং এইডের প্রকারভেদ কি কি?উত্তর: হিয়ারিং এইড সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেগুলো বিভিন্ন উপায়ে আপনার কানের সাথে মানানসই হয়। যার মধ্যে রয়েছে “কানের পিছনে” “কানের মধ্যে” “ইয়ার ক্যানেলে” এবং “সম্পূর্ণভাবে ইয়ার ক্যানেলে” স্থাপনযোগ্য হিয়ারিং এইড, রিচার্জেবল ও ব্যাটারি যুক্ত। প্রশ্ন ৩.হিয়ারিং এইড কিভাবে কাজ করে?উত্তর: প্রথমত হেয়ারিং এইডে থাকা মাইক্রোফোন পরিবেশ থেকে শব্দ গ্রহন করে। তারপরে একটি এমপ্লিফায়ার সহ একটি কম্পিউটার চিপ শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে। এটি আপনার শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং আপনার চারপাশের অন্যান্য শব্দের স্তরের উপর ভিত্তি করে শব্দগুলিকে বিশ্লেষন করে এবং সামঞ্জস্যপূর্ন করে তোলে। এই পরিবর্ধিত সংকেতগুলি আবার রূপান্তরিত হয় শব্দ তরঙ্গ এবং স্পিকারের মাধ্যমে আপনার কানে প্রেরিত হয়। এভাবে হিয়ারিং এইডগুলি আপনার শ্রবণশক্তি এবং কথা বোঝার সক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করতে পারে,যদি আপনার শ্রবণশক্তি হ্রাস আপনার অন্তঃকর্নের সংবেদনশীল কোষগুলির ক্ষতির কারণে হয়ে থাকে। এই কোষগুলো যত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে,আপনার শ্রবণশক্তির হ্রাস তত বেশি গুরুতর হবে এবং তা থেকে পরিত্রাণের জন্য আপনার আরো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হিয়ারিং এইড প্রয়োজন হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনার শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে এবং হিয়ারিং এইড ব্যবহারে উপকৃত হবেন,তাহলে আপনার নিকটস্থ অডিওলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। প্রশ্ন ৪.হিয়ারিং এইডের দাম কত?উত্তর: হিয়ারিং এইডের দাম অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সুতরাং Hearing Aid Price নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তবে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ বা তারও বেশি দামের হিয়ারিং এইড পাওয়া যায়। প্রশ্ন ৫. ব্যবহার করলে খালি চোখে অন্য কেউ দেখবেনা এমন হিয়ারিং স্থাপন করা সম্ভব?-এর উত্তরও আপনার প্রাথমিক ডায়াগনোসিস ছাড়া বলা সম্ভব নয়। আপনার হিয়ারিং লস পরিমাপ করে একজন অডিওলোজিস্ট সিদ্ধান্ত নেবেন আপনার কোন ধরনের হিয়ারিং এইড প্রয়োজন। অন্যথায় আপনার ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো হিয়ারিং এইড ব্যবহারে বরং আপনার শ্রবণসংক্রান্ত সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে পারে।সাবধানতা: কম টাকায় নিম্নমানের হিয়ারিং এইড কিনে নিজের শ্রবনক্ষমতার সর্বনাশ করা থেকে বিরত থাকুন এবং যথা সম্ভব দক্ষ ও সার্টিফাইড অডিওলজিস্ট থেকে যথাযথ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে আপনার হিয়ারিং এইড ক্রয় নিশ্চিত করুন।হিয়ারিং এইড সহ স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার। ঠিকানাঃ৬৫/ক মাটিকাটা -ইসিবি চত্ত্বর রোড। বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে।ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১২০৬মোবাইল ঃ০১৭৭৪-৯১০৭৯১,০১৪০৬-৩০৩০৯০
স্পীচ (Speech) এবং হিয়ারিং (Hearing) রিলেটেড ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত কিছু মিথ অথবা প্রচলিত কুসংস্কারঃ

শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং স্পীচ ডিসঅর্ডার সম্পর্কে আমাদের সমাজে প্রচুর মিথ প্রচলিত রয়েছে। যেগুলো বেশিরভাগই শোনাকথা অথবা সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে ব্যক্তিগত অভিমত। এবং এই কুসংস্কার বা ভুল ধারনা গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি শিশুর স্পীচ এবং ল্যাঙুয়েজ স্কিল বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী।⚠️খুবই কমন/ প্রচলিত কিছু মিথ হলোঃ১. হিয়ারিং লস শুধুমাত্র বয়স্কদের হয়ে থাকে।২. শুধুমাত্র সিভিয়ার হিয়ারিং লস হলেই ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হয়।৩. স্পীচ থেরাপি বাচ্চাদের সাথে সাধারন কথাবার্তা আর খেলাধূলা ছাড়া কিছুই না।৪. বাইলিঙ্গুয়াল হোম বা যে পরিবারে দুটো ভিন্ন ভাষায় কথা বলা হয় সে পরিবারের শিশুদের স্পীচ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার রিস্ক বেশি।৫. শিশুদের সাথে শিশুসুলভ ভাষায় বা শিশুদের স্বরে কথা বললে তাদের ল্যাঙুয়েজ ডেভোলাপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়।৬. আমার শাশুড়ি বলেছেন,আমার হাসব্যান্ডেরও ছোটবেলায় স্পীচ প্রবলেম ছিলো এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি ভালো হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের সন্তানের ক্ষেত্রেও সম্ভবত তাই হবে।৭. শুধুমাত্র হিয়ারিং লস থাকলেই স্পীচ ডিসঅর্ডার হতে পারে,অন্যথায় নয়।আমরা প্রায়ই এ ধরনের কথা অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনে থাকি। যা সবই ভুল এবং মনগড়া। কিন্তু এই ধারনাগুলোই হয়তো আপনার শিশুর ভবিষ্যত জীবনকে অনিশ্চয়তার ভেতর ঠেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং স্পীচ এবং হিয়ারিং রিলেটেড যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে এ বিষয়গুলো নিয়ে যেসব প্রফেশনালস’রা কাজ করে থাকেন,তাঁদের শরণাপন্ন হওয়া অতীব জরুরি। নিজে নিজে কোনো ডিসিশনে আসা পুরোপুরি অনুচিত,অযৌক্তিক এবং বিপজ্জনক।স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার।
Stammering বা তোতলামো সমস্যা ও চিকিৎসাঃ

আমাদের সমাজে তথা সারা দুনিয়ায় ১% লোকের এই সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ দেখা যায় যাদের এই সমস্যা রয়েছে। কথা বলতে গেলে ঠিক মত কথা বলতে পারেন না। কথা বলার সময় কথায় তোতলামোর ভাব চলে আসে বা তোতলামি শুরু হয়ে যায় কিংবা সুনির্দিষ্ট কিছু শব্দ স্পষ্ট উচ্চারণ করতে পারেন না।তোতলামির একাধিক কারণ রয়েছে। সাধারণত জেনেটিক কারণে তোতলামি সমস্যা দেখা দেয়। বাবা-মায়ের যদি তোতলামি সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে সন্তানেরও হতে পারে। অপরদিকে তোতলামি নিউরোজেনিক কারণেও হতে পারে। আবার এর পিছনে শারীরিক,মানসিক এবং পরিবেশগত কারনও দায়ী। তোতলামি সমস্যায় সাধারনত মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৫ জন ছেলে শিশুর বিপরীতে ১ জন মেয়ে শিশুর তোতলামি সমস্যা হয়ে থাকে।এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় নিওরোলজিস্টরা বলেন-কথা বলতে গেলে যেসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রয়োজন,যেমন-জিহ্বা,তালু,গলার পেশি ইত্যাদি ঠিকমতো বশে না থাকলে তোতলানো সমস্যা প্রকট হতে পারে। আবার মস্তিষ্কের বেশ কয়েকটি অংশ থেকে মানুষের কথা বলা নিয়ন্ত্রিত হয়। আর এসব অংশে সমস্যা থাকলেও তোতলানো সহ কথা বলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।ছোটবেলায় যদি কেউ মাথায় গুরুতর আঘাত পায়,তা থেকেও কথা বলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুকে ছোটবেলায় যদি কথা বলার জন্য বেশি চাপ সৃষ্টি করা হয়,সেক্ষেত্রে শিশুটির মধ্যে তোতলামো ভাব আসতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়সেও তোতলামি সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ট্রোক এর অন্যতম কারন।তোতলামো সমস্যার চিকিৎসাঃসঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চললে তোতলামি সম্পূর্ণ ভালো হয়। তবে চিকিৎসা দেরিতে শুরু হলেও তোতলামো কমানো সম্ভব। তোতলামির একমাত্র চিকিৎসা হলো থেরাপী। থেরাপির তিনটি ভাগ ইন্ডিভিজুয়াল থেরাপি, গ্রুপ থেরাপি এবং কাউন্সেলিং থেরাপি। প্রথম দুটি স্পিচ থেরাপির অংশ।*স্পিচ থেরাপি এমন একটা সিস্টেম যার দ্বারা রেট অব স্পিচ কমানো হয়। এর দ্বারা ব্রিদিং প্যাটার্ন ঠিক করা হয়, মাসল টেনশন কমানো হয় এবং মনোবল বাড়ানো হয়। পুরো কাজটা মিডভ্যাস পদ্ধতিতে কাজ করে।এছাড়া তোতলামি কাটানোর উপায়গুলো হলো-* নিজের তোতলামিকে ভয় না পেয়ে সমস্যাটিকে কীভাবে সামলানো যায় তা শেখা৷ এর জন্য বেশি বেশি কথা বলার চেষ্টা করা, টেলিফোনে কথা বলা, সবার সামনে বক্তব্য রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা।* দৈনন্দিন কাজকর্মে অসুবিধাগুলো কীভাবে কাটানো যায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়৷ যেসব শব্দ বলতে গেলে আটকে যায়, সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে অন্য শব্দ নেওয়া যেতে পারে৷* কণ্ঠস্বর নরম করে কথা বলা৷ এইভাবে কথা বললে তোতলামিটা থাকে না৷ এ জন্যে ধীরে ধীরে চেপে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা।* তোতলানোর সময় মস্তিষ্কের এক অংশ অন্য অংশের সমস্যা কাটাতে চেষ্টা করে৷ আর তাই গানের মাধ্যমেও তোতলামিকে আয়ত্তে আনা যায়৷ কেননা সংগীত ও গানের জগৎ থাকে মস্তিষ্কের ডান দিকে৷ আর বাঁ দিকে থাকে কথার এলাকা৷ এজন্য তোতলাদের গান গাইতে কোনো অসুবিধা হয় না৷ এভাবে নিয়মিত গানের চর্চা করলেও এক সময় তোতলামো সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।* সন্তানের তোতলামোর উপসর্গ দেখা দিলে আগে বাবা-মা বুঝতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তখনই নিজেদের দ্বারা কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে যদি নজর না দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় কোন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যে কোন মানসিক চাপ তোতলামি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বাবা-মাকে সব সময় এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত এবং একজন অভিজ্ঞ স্পীচ থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।তোতলামো সমস্যার চিকিৎসা সহ স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার।ঠিকানাঃ ৬৫/ক মাটিকাটা -ইসিবি চত্ত্বর রোড। বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে।ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১২০৬মোবাইলঃ ০১৭৭৪-৯১০৭৯১,০১৪০৬-৩০৩০৯০
ভয়েস থেরাপি/Voice Therapy

স্পীচ এবং ল্যাংগুয়েজ সংক্রান্ত যতধরনের থেরাপি রয়েজে তন্মধ্যে ভয়েস থেরাপি অন্যতম। তবে প্রচলিত ‘স্পীচ থেরাপি’ এবং ‘ভয়েস থেরাপি’ এক নয়। ভয়েস থেরাপির টেকনিক এবং ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি পেশেন্ট টু পেশেন্ট আলাদা হয়ে থাকে। আর এই থেরাপি গ্রহনের জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ স্পীচ ল্যাংগুয়েজ প্যাথলজিস্ট এর সাথে কনসাল্ট করা খুবই জরুরি। অন্যথায় ভুল ডায়াগনোসিস এবং ভুল থেরাপি প্রদান একজন পেশেন্টের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।যেসব সিম্পটম পরিলক্ষিত হলে আপনার ভয়েস থেরাপি প্রয়োজনঃ-গলার স্বর কর্কশ বা রুক্ষ হয়ে যাওয়া।– কাঁপা স্বরে কথা বলা।– কথা বলার সময় গলায় টানটান ভাব আসা।– স্বর দুর্বল হয়ে যাওয়া অথবা একেবারেই শব্দ বের না হওয়া।– বাতাসযুক্ত শব্দ বের হওয়া।– হঠাৎ স্বরের পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।– প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের স্বর চিকন হয়ে যাওয়া।– কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ আটকে যাওয়া।– জনসম্মুখে তোতলানো ও সাবলীল ভাবে কথা বলতে না পারা।– স্ট্রোকের পর বিভিন্ন জিনিসের এবং আত্মীয় স্বজনের নাম ভুলে যাওয়া কিংবা মনে করতে না পারা। কথা বুঝতে ও ধারণ করতে সমস্যা। শব্দ উচ্চারণ ও বাক্য সাজাতে না পারা।ভয়েস থেরাপি যাদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্যঃ-সব বয়স ও শ্রেনী পেশার মানুষের জন্যই ভয়েস থেরাপি প্রযোজ্য। তবে আবৃতি শিল্পী,সংগীত শিল্পী,বিতার্কিক,পাবলিক স্পিকার,নিউজ রিপোর্টার ইত্যাদি শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য এ থেরাপি বিশেষভাবে প্রয়োজন। ‘ভয়েস থেরাপি’ সহ স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার। ঠিকানাঃ৬৫/ক মাটিকাটা -ইসিবি চত্ত্বর রোড। বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে।ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১২০৬মোবাইল ঃ০১৭৭৪-৯১০৭৯১,০১৪০৬-৩০৩০৯০
কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট (Cochlear Implant) কোথায় করাবেন ভাবছেন?

আপনার সন্তান কি শুনতে পায় না? হিয়ারিং এইড দিয়ে কোনো ফলাফল আসছে না?ভাবছেন এখন কি করবেন? কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কোথায় করাবেন ভাবছেন?বাংলাদেশে একমাত্র আমরাই দিচ্ছি বিশেষজ্ঞ গ্রাজুয়েট অডিওলজিস্ট দ্বারা প্রি-অপারেটিভ,পোস্ট-অপারেটিভ, এবং ফুল রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়ার সম্পাদানের সুবিধা।যেখানে কথা বলতে না পারা ও শুনতে না পাওয়া বাচ্চা/বাক্তির শুনতে ও বলতে পাওয়ার প্রতিস্রুতিআসসালামুআলাইকুম। যে বা যারা প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করাতে চান তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু জরুরি কথা এবং Cochlear Limited কোম্পানির কক্লিয়ার ডিভাইস এর আদ্যোপান্ত।১. প্রথমেই জেনে নেয়া দরকার ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কি,কেন দরকার এবং এটি কিভাবে কাজ করে।-ককলিয়ার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা শ্রবণশক্তি উন্নত করে। এটি এমন লোকদের জন্য একটি বিকল্প হতে পারে যাদের অন্তঃকর্ণের ক্ষতির কারণে গুরুতরভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট একটি সাউন্ড প্রসেসর ব্যবহার করে যা কানের পিছনে ফিট করা থাকে। প্রসেসর শব্দ সংকেত ক্যাপচার করে এবং কানের পিছনের ত্বকের নিচে লাগানো একটি রিসিভারে পাঠায়। রিসিভার শামুক-আকৃতির অভ্যন্তরীণ কানে (ককলিয়া) বসানো ইলেক্ট্রোডগুলিতে সংকেত পাঠায়। সংকেতগুলি শ্রবণ স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে,যা পরে সংকেতগুলিকে মস্তিষ্কে প্রেরণ করে । মস্তিষ্ক সেই সংকেতগুলিকে শব্দ হিসাবে ব্যাখ্যা করে। যদিও এই শব্দগুলি প্রাকৃতিক শ্রবণের মতো হবে না। ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট থেকে প্রাপ্ত সংকেতগুলি ব্যাখ্যা করতে শিখতে সময় এবং AVT(এভিটি) থেরাপি লাগে। ব্যবহারের ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে, ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেড পেশেন্ট কথা বলতে ও বুঝতে শুরু করে।২. এবার আসা যাক কোন কোম্পানির ককলিয়া আপনার জন্য প্রযোজ্য সে বিষয়ে কিছু কথা বলা যাক।-অনেকেই আছেন সংশয়ে থাকেন কোন কোম্পানির ককলিয়া ইমপ্ল্যান্ট করা সবচেয়ে নিরাপদ। আসলে বিশ্বে বহুল প্রচলিত প্রায় সবগুলো কোম্পানির ককলিয়াই উন্নত মানের এবং ভালো। বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত তিন ধরনের ককলিয়া হলো- Med-El, Advanced Bionic এবং Cochlear Limited. ***তবে আজকে আমরা কথা বলবো Cochlear Limited কোম্পানির ককলিয়ার ডিভাইস সম্পর্কে। Cochlear Limited অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন একটি ককলিয়ার ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।সমগ্র বিশ্বে যতগুলো মানুষের ককলিয়া ইমপ্ল্যান্ট হয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ ককলিয়া ব্যবহার করা হয়েছে ককলিয়ার লিমিটেড কোম্পানির। আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ এ পর্যন্ত এটা ব্যবহার করেছেন। এটি একটি জায়ান্ট টেক কোম্পানি যাদের রেভিনিউ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থ্যাৎ ককলিয়া নির্মানে এই প্রতিষ্ঠান একক প্রতিদ্বন্দ্বী। ****এবার আসা যাক Cochlear Limited কোম্পানির ককলিয়া সম্পর্কিত কিছু কথায়।- এই কোম্পানির ককলিয়া সাধারণত অন্যগুলোর চেয়ে একটু ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।- প্রোডাক্টের স্থায়িত্ব ও কর্মক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ের।- বলা হয়ে থাকে ককলিয়ার লিমিটেড এর Cochlear Implant করা হলে Auditory Verbal Therapy ছাড়াই একজন পেশেন্ট স্পিচ ডেভলপ করতে শুরু করে।Cochlear Limited সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদেরকে সরাসরি ফোন করুন নিচে দেয়া নাম্বারে। ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সহ স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার। যোগাযোগঃ +8801774-910791, +8801406-303090
আসলেই কি ইয়ারফোন এ উচ্চ শব্দে গান শুনলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় ? আসুন জেনে নেয়া যাক-

প্রতিদিন বাড়ি থেকে স্কুল,কলেজ,অফিস যাওয়ার পুরো সময়টা কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন? রাস্তার কোলাহল,ট্রেন-বাসের হর্ন-এর আওয়াজ এড়াতে হেডফোনের ব্যবহার করেন নিয়মিত? হেডফোন এবং ইয়ারফোন ছাড়া জীবন-যাপনের কথা ভাবতেই পারেন না? দিনের অনেকটা সময় কানে থাকে হেডফোন? কাজের চাপে রিফ্রেশমেন্টের জন্য হেডফোন কানে জড়িয়ে ডুব দেন আপনার পছন্দের মিউজিক প্লে লিস্টে?যদি এমনই অভ্যাস হয় আপনার তা হলে এখনই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-১। শ্রবণে সমস্যাঃহেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন। দীর্ঘ সময় হেডফোনের ব্যবহার করতে হলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না। হাই ভলিউম-এ গান শুনবেন না।২। কানের ইনফেকশনঃইয়ারফোন কারো সঙ্গে ভাগ না করাই ভাল। অন্যথায় সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোন-এর মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে। ৩। বাতাস প্রবেশে বাধাঃহেডফোন কোম্পানিগুলি এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্স এর দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। ফলে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে। বেশিরভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে ঝুঁকি থেকেই যায়।৪। অল্প সময়ের জন্য বধিরঃএকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউম-এ গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।৫। কানে ব্যাথাঃঅতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের জন্য অনেকেই কানের ব্যথা অনুভব করেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়। ৬।মস্তিষ্কে প্রভাবঃহেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিকের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি।সেজন্যই যতটা সম্ভব দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ব্লুটুথ হেডফোন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন (কানে বাতাস প্রবেশ করতে বাধা প্রধান করে এমন হেডফোন গুলো) এবং যে কোম্পানির ডিভাইস ব্যবহার করছেন সেই ডিভাইসের কনফিগারেশনের সাথে মিল রেখে ওই একই কোম্পানির হেডফোন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন হেডফোনে গান শোনা বা ভিডিও দেখা অবস্থায় আশেপাশের শব্দ যেন আপনি শুনতে পান। যদি শুনতে না পান তাহলে অবশ্যই ভলিউম কমাতে হবে। রাস্তায় চলাচলের সময় হেডফোন ব্যবহার করবেন না। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ সময় হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনবেন না অথবা মুভি দেখবেন না। ৩০ মিনিট পর পর বিরতি নিন।স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার। ঠিকানাঃ৬৫/ক মাটিকাটা -ইসিবি চত্ত্বর রোড। বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে।ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১২০৬মোবাইল ঃ০১৭৭৪-৯১০৭৯১,০১৪০৬-৩০৩০৯০
হিয়ারিং লস (Hearing Loss) এবং স্পীচ ডিলে (Speech Delay) সম্পর্কে কিছু কথা

আমাদের অনেকেরই ধারনা জন্মগত হিয়ারিং লস থাকা মানেই একটু শিশুর স্পীচ ডিলে হতে পারে। এ ধারনাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। হিয়ারিং লস ছাড়াও অনেকেরই স্পীচ ডিলে হতে পারে। স্পীচ অর্গান এবং মোটর ফাংশনে যেকোনো রকম ডিস্টারবেন্সও স্পীচ ডিলে সৃষ্টি করতে পারে। মস্তিস্কের যে অংশ স্পীচ প্রোডাকশনের জন্য দায়ী,সে অংশ প্রবলেমেটিক হওয়াই মূলত মোটর ডিসফাংশন। যার ফলে অন্যান্য স্পীচ অর্গান যেমন ঠোঁট,জিহ্বা এবং চোয়াল যথাযথ স্পীচ প্রোডাকশনে অংশগ্রহণ করেনা।বর্তমানে স্পীচ ডিলে অর্থ্যাৎ শিশুদের যথাযত বয়সের তুলনায় দেরীতে কথা বলা একটি কমন সমস্যা। এর কিছু সুপরিচত লক্ষন হলোছোট শিশুদের ক্ষেত্রে:১. উচ্চ শব্দে চমকে ওঠে না।২. শব্দের দিকে মাথা ঘুরায় না৩. ১২ মাস বয়সের মধ্যে অন্তত কিছু শব্দ বলে না।একটু বড় (৩ বছর+) শিশুদের ক্ষেত্রেঃ১. বিলম্বিত স্পীচ বিকশিত হয়।২. অস্পষ্ট স্পীচ প্রোডাকশন। ৩. কমান্ড/নির্দেশনা অনুসরণ করে না।৪. প্রায়শই যা বলে দেয়া হয় তা পুনরাবৃত্তি করতে পারেনা।৫. উচ্চ ভলিউমে গান বা টেলিভিশন শোনে।এ লক্ষনগুলো দেখা দিলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ স্পিচ থেরাপিস্টের সাথে কনসাল্ট করা অতীব জরুরি।আর হিয়ারিং লস উপস্থিত রয়েছে কি না,সেটা জানার জন্য শিশু জন্মের পরপরই হিয়ারিং স্ক্রিনিং করানো গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে অন্তত এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে আপনার শিশুর হিয়ারিং লস আছে কিংবা নেই।যার ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাসের দরুন একটি শিশুর বিকাশ ঘটিত যেকোনো প্রভাব এড়ানো সম্ভব।স্পীচ ও হিয়ারিং এবং হিয়ারিং এইড এর দাম সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার। যোগাযোগঃ +01774-910791, +8801406-303090
অডিওলজি কি?

অডিওলজি শব্দটি দটিু মলূ নিয়ে গঠিত: অডিও এবং লজি। ‘অডিও’ বলতে ‘শ্রবণ’ এবং ‘লজি’ থেকে‘অধ্যয়ন’ বোঝায়। মোটকথা, অডিওলজি হল শ্রবণশক্তির অধ্যয়ন – যেমন ভারসাম্যের জন্য ভিতরেরকানেরও প্রয়োজন হয়, এটিও অধ্যয়নের অন্তর্ভুক্ত। চিকিৎসা পরিভাষায় এটি বিজ্ঞানের একটি শাখা যাশ্রবণ, ভারসাম্য এবং তাদের সম্পর্কে ব্যাধিগুলোর অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত।অডিওলজি একটি দ্রুত উন্নয়নশীল ক্ষেত্র, এবং অডিও লজিকাল পরিষেবাগুলির প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট শ্রবণসংক্রান্ত একটি জাতীয় গবেষণায় দেখা গেছে যে জনসংখ্যার প্রায় 19% এর উল্লেখযোগ্য শ্রবণশক্তি হ্রাসপেয়েছে। একজন অডিওলজিস্ট কে? অডিওলজিস্ট শ্রবণ ক্ষমতা পরীক্ষা করেন, শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য চিকিৎসার পরামর্শ দেন, শ্রবণ শক্তিসরবরাহ করেন এবং উপযুক্ত শ্রবণ উপকরণ দেন, কক্লিয়ার ম্যাপিং এবং বোন-অ্যাঙ্কর শ্রবণ প্রতিস্থাপনকরেন এবং শ্রবণশক্তি হ্রাস, টিনিটাস এবং যোগাযোগ মেরামতের কৌশল সম্পর্কে লোক ও পরিবারকেপরামর্শ দেন। তারা ব্যক্তিগত শ্রবণ ক্লিনিক থেকে শুরু করে বড় গবেষণা হাসপাতাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণেরসেটিংসে কাজ করে। পেডিয়াট্রিক অডিওলজিস্ট শিশু এবং বাচ্চাদের সাথে কাজ করে এবং প্রায়ই স্পিচপ্যাথলজিস্ট, প্রারম্ভিক হস্তক্ষেপ বিশেষজ্ঞ এবং অটোল্যারিঙ্গোলজিস্টদের সাথে সহযোগিতা করে।অডিওলজি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সেরা উপলব্ধ প্রযুক্তির সংমিশ্রণ করে মানষেু র শ্রবণ বাভারসাম্যহীনতার সমস্যা সমাধানের জন্য। যারা অডিওলজি অনশীলন ু করেন তাদের বলা হয়অডিওলজিস্ট। অডিওলজিস্ট শ্রবণ ও ভারসাম্য সম্পর্কে ব্যাধিগুলোর পরিচালনা এবং পুনর্বাসনের জন্যদায়ী। অডিওলজিস্ট এর একটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অডিওলজিতে ডক্টরেট আছে। তারা সদ্য জন্ম নেওয়াশিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগীদের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত। বিস্তৃত বয়সের বর্ণালী র্ণ তে অনেকগুলিসম্ভাব্য সমস্যা রয়েছে যা তাদের সমাধান করতে হবে। তারা তাদের রোগীদের জন্য এই স্বতন্ত্র সমাধানপ্রদান করার জন্য একটি বহু বিভাগীয় দলের সাথে কাজ করে। অডিওলজি এবং ভেস্টিবলার ু প্যাথলজি নির্ণয়র্ণ করার পাশাপাশি, অডিওলজিস্ট টিনিটাস,হাইপারঅ্যাকিউসিস, মিসোফোনিয়া, শ্রবণ প্রক্রিয়াকরণ ব্যাধি, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ব্যবহার এবং/অথবা শ্রবণযন্ত্রের ব্যবহার পুনর্বাসনে বিশেষজ্ঞ হতে পারে। অডিওলজিস্ট জন্ম থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত শ্রবণস্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারেন। ডায়াগনস্টিক টেস্ট অনেকগুলি ডায়াগনস্টিক টেস্ট আছে যেগুলো একজন অডিওলজিস্ট দ্বারা নিযুক্ত করা যেতে পারে একজনরোগী যে ব্যাধিতে ভুগছেন তা আরও ভালভাবে বঝু তে সাহায্য করতে। এর মধ্যে কয়েকটি মধ্যে রয়েছেঅডিটরি ব্রেনস্টেম ইভোকড রেসপন্স এবং অডিটরি স্টেডি স্টেট রেসপন্স টেস্টিং, অটো অ্যাকোস্টিকএমিশন, অ্যাকুস্টিক ইমিট্যান্স মেপে, ভিজ্যুয়াল রিইনফোর্সমেন্ট এবং শিশুদের জন্য প্লে অডিওমেট্রি।রোগ নির্ণয়ের্ণ র ধরন নির্ভর করবে রোগী যে লক্ষণগুলি সম্পর্কে অভিযোগ করেছে তার উপর। সমস্ত রোগীরসমস্ত ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করা হয় না। রোগীর কাছ থেকে তিনি যা করেন, তাদের পারিবারিক ইতিহাসএবং অন্যান্য শারীরিক ইঙ্গিত এবং লক্ষণগুলি উপর ভিত্তি করে পরীক্ষার বিকল্পগুলি সংকুচিত করাঅডিওলজিস্ট এর কাজ। চিকিৎসার বিকল্পগুলি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ফলাফল অডিওলজিস্ট একজন রোগী যে ব্যাধিতে ভুগছে তা বঝু তে সাহায্য করবেযাতে তাদের চিকিৎসার পরিকল্পনা করতে পারে। শ্রবণ সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যা শ্রবণ পুনর্বাসনপরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করা হয়, যার মধ্যে শ্রবণ যন্ত্রের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রাক-মলূ্যায়ন এবং ইমপ্লান্টেশন পরবর্তী যত্ন ও শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য একটি নিয়মিতচিকিৎসা। অডিওলজিস্ট রোগীকে যোগাযোগ দক্ষতা কাউন্সেলিং এর পাশাপাশি রোগীর যত্ন দাতাদের এবংপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ে সহায়তা করবেন। বলা বাহুল্য অডিওলজিক মলূ্যায়নচিকিৎসার ভিত্তি। অডিওলজি এবং টেকনোলজি তার সূচনা থেকেই, অডিওলজি ক্ষেত্রে এটি কাছে উপলব্ধ প্রযুক্তির ধরনের উপর নির্ভরশীল। শ্রবণশক্তিরক্ষতি পরিমাপ করা, রোগীর যোগাযোগের ক্ষমতার উপর ক্ষতিকর প্রভাব, শ্রবণ যন্ত্রের সাহায্যে পুনর্বাসন,সবকিছুর জন্য প্রযুক্তি ভিত্তিক গ্যাজেট প্রয়োজন।গত কয়েক দশক ধরে, উপলব্ধ প্রযুক্তি উভয়ই উন্নত হয়েছে এবং অডিওলজিস্টদের দ্বারা সমাধান দেওয়াহচ্ছে। নতুন গ্যাজেটগুলো রেকর্ডিং শ্রবণশক্তি হ্রাস সহজ এবং আরও সঠিক করে তোলে৷ তারা নবজাতকশিশুর শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য স্ক্রিনিংয়ের অনমুতি দেয় – এটি প্রাথমিক শৈশবকালে শ্রবণশক্তি হ্রাসেরচিকিত্সা এবং জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শ্রবণ যন্ত্রের ফিটিং সক্ষম করে