শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং স্পীচ ডিসঅর্ডার সম্পর্কে আমাদের সমাজে প্রচুর মিথ প্রচলিত রয়েছে। যেগুলো বেশিরভাগই শোনাকথা অথবা সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে ব্যক্তিগত অভিমত। এবং এই কুসংস্কার বা ভুল ধারনা গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি শিশুর স্পীচ এবং ল্যাঙুয়েজ স্কিল বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী।
⚠️খুবই কমন/ প্রচলিত কিছু মিথ হলোঃ
১. হিয়ারিং লস শুধুমাত্র বয়স্কদের হয়ে থাকে।
২. শুধুমাত্র সিভিয়ার হিয়ারিং লস হলেই ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হয়।
৩. স্পীচ থেরাপি বাচ্চাদের সাথে সাধারন কথাবার্তা আর খেলাধূলা ছাড়া কিছুই না।
৪. বাইলিঙ্গুয়াল হোম বা যে পরিবারে দুটো ভিন্ন ভাষায় কথা বলা হয় সে পরিবারের শিশুদের স্পীচ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার রিস্ক বেশি।
৫. শিশুদের সাথে শিশুসুলভ ভাষায় বা শিশুদের স্বরে কথা বললে তাদের ল্যাঙুয়েজ ডেভোলাপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়।
৬. আমার শাশুড়ি বলেছেন,আমার হাসব্যান্ডেরও ছোটবেলায় স্পীচ প্রবলেম ছিলো এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি ভালো হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের সন্তানের ক্ষেত্রেও সম্ভবত তাই হবে।
৭. শুধুমাত্র হিয়ারিং লস থাকলেই স্পীচ ডিসঅর্ডার হতে পারে,অন্যথায় নয়।
আমরা প্রায়ই এ ধরনের কথা অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনে থাকি। যা সবই ভুল এবং মনগড়া। কিন্তু এই ধারনাগুলোই হয়তো আপনার শিশুর ভবিষ্যত জীবনকে অনিশ্চয়তার ভেতর ঠেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং স্পীচ এবং হিয়ারিং রিলেটেড যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে এ বিষয়গুলো নিয়ে যেসব প্রফেশনালস’রা কাজ করে থাকেন,তাঁদের শরণাপন্ন হওয়া অতীব জরুরি। নিজে নিজে কোনো ডিসিশনে আসা পুরোপুরি অনুচিত,অযৌক্তিক এবং বিপজ্জনক।
স্পীচ ও হিয়ারিং সম্পর্কিত সকল ধরনের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে আপনাদের পাশে আছি আমরা “Shono Bangladesh Hearing and Speech Point” পরিবার।